বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সাথে বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদ প্রার্থিতা বাতিল বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

দ্বৈত নাগরিকত্ব, খেলাপি ঋণ, ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনে গরমিলসহ বিভিন্ন কারণে তাদের প্রার্থিতা বাতিল হয়।

বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুক। ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন ভবনে আপিল শুনানি শেষে বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সিটির সাবেক মেয়র সাদিকের প্রার্থিতা বাতিল করে ইসি। পরে এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। রিটের শুনানি নিয়ে ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট ইসির আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। ফলে তার মনোয়নপত্র বৈধতা পায়।

পরদিন হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছেন জাহিদ। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। ফলে সাদিকের নির্বাচন আটকে যায়। পরে তিনি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন।

অন্যদিকে বরিশাল-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী শাম্মী আহমেদ এবং একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ পরস্পরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন ইসিতে। শাম্মী অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও তা গোপন করেছেন বলে অভিযোগ ছিল পঙ্কজের।

তবে, গাজীপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদের প্রার্থিতা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে আপিল বিভাগ।

এদিকে, ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে করা আপিল শুনানিতে এক সপ্তাহ সময় চেয়েছেন এ কে আজাদের আইনজীবী। এই বিষয়ে শুনানি এক সপ্তাহ পর অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে আপিল বিভাগ।

এছাড়া, যশোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এনামুল হকের প্রার্থীতা বৈধ থাকবে বলে জানিয়েছে আপিল বিভাগ